শাল্লা প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ২নং হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার (বকুল) আর নেই।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সোমবার সকাল ১০টায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। তিনি শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউপির নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত বসন্ত কুমার মজুমদারের ছেলে। মৃত্যুকালে বিবেকানন্দ মজুমদার স্ত্রী, ২ ছেলে ও ১ কন্যাসন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বিবেকানন্দ মজুমদারের ছেলে বিপ্রেশ মজুমদার বলেন, আমার বাবা স্ট্রোক করেছিলেন এবং হার্টের সমস্যা নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। আমরা প্রথম বাবাকে মাউন্ট এডোরা হসপিটালে চিকিৎসা দেই। এরপর সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি থাকাকালীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। সিলেট থেকে বাবার মরদেহ নিয়ে আমাদের গ্রামের বাড়ি (নোয়াগাঁও) যাচ্ছি এবং সেখানেই তাঁর শেষ কৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন করা হবে।
রাজনৈতিক মহলের নেতৃবৃন্দ জানান, বিবেকানন্দ মজুমদার (বকুল) দলিল লেখক থাকা অবস্থায় প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের হাত ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশ করেন। তিনি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহচর হিসেবে পরিচিত লাভ করেন। প্রায় এক যুগ পূর্বে শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের মাধ্যমে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান বকুল। তিনি বিশ্বস্ততা ও দক্ষতার সঙ্গে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করে গেছেন। তারপর উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
বিবেকানন্দ মজুমদার (বকুল) এর মৃত্যুতে এলাকার সর্বমহলে শোকের ছায়া দেখা দিয়েছে এবং শেষবারের মতো তাঁকে দেখতে তাঁর বাড়িতে মানুষের ঢল নেমেছে।
Leave a Reply